Header Ads

আইফোন ব্যবহারের সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে বলবেন কি?

 আইফোন ব্যবহারের সুবিধা:

স্প্যাম মেসেজ ফিল্টার: স্প্যাম মেসেজ বা স্প্যাম বার্তা ফিল্টার করার সুবিধাটি আইওএস ১১-এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফিচার। আইওএস ১১ সংস্করণে যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যুক্ত হয়েছে, তা স্প্যাম বার্তাগুলোকে ফিল্টার করে ফেলে। ফলে স্মার্টফোন থাকে বেশি নিরাপদ।

নেটিভ স্ক্রিন রেকর্ডিং: আইওএস ১১ ব্যবহারকারীরা তাঁদের ডিভাইসের ডিসপ্লে থেকে ভয়েস ইনপুট দিয়ে কনটেন্ট রেকর্ড করতে পারবেন। এ ফিচারটি ব্যবহার করে জিআইএফ বা জিফ তৈরি করা যাবে। স্যামসাং স্মার্টফোনে এ সুবিধাটি থাকলেও অ্যান্ড্রয়েড ফোনের মূল ফিচার হিসেবে এটি এখনো চালু হয়নি।

বিভিন্ন ডিভাইসে মেসেজ সিনক্রোনাইজ: আইওএস ১১ অপারেটিং সিস্টেমে মেসেজেস অ্যাপ্লিকেশনটি আইক্লাউড সমর্থন পাচ্ছে। এর ফলে অ্যাপলের সব ডিভাইসে বার্তা সিনক্রোনাইজ থাকবে। একটি অ্যাপল আইডি দিয়ে সব বার্তা যেকোনো অ্যাপল ডিভাইসে পড়া যাবে। গুগলের অ্যান্ড্রয়েড মেসেজেস অ্যাপে এখনো এ সুবিধা নেই।

অর্থ লেনদেন: আইওএস ১১তে মেসেজেস অ্যাপটির মাধ্যমে অর্থ আনা-নেওয়ার সুবিধা দিচ্ছে অ্যাপল। সাধারণ বার্তা পাঠিয়ে এ সুবিধা চালু করা যায়। অ্যান্ড্রয়েডে এখনো অর্থ লেনদেন সুবিধা আসেনি।

সিরিতে রিয়েল টাইমে অনুবাদ: আইওএস ১১ অপারেটিং সিস্টেমে ভার্চ্যুয়াল সহকারী সফটওয়্যার সিরি আরও উন্নত হয়েছে। অ্যাপলের এই কণ্ঠস্বর নিয়ন্ত্রিত সহকারী সফটওয়্যার আলাপচারিতার সময় সঙ্গে সঙ্গে অনুবাদ করে দেখাতে পারে। এখন পর্যন্ত পাঁচটি ভাষায় এ সুবিধা চালু হয়েছে। ইংরেজি থেকে চায়নিজ, ফ্রেঞ্চ, জার্মানি, ইতালিয়ান ও স্প্যানিশ ভাষায় অনুবাদ করতে পারে সিরি।

সহজ সেটআপ: আইওএস ১১ ব্যবহারকারীরা নতুন আইওএস চালিত ডিভাইস পুরোনো ডিভাইসের কাছাকাছি রেখে দ্রুত সেটআপ করতে পারবেন। এ ফিচারটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এখনো জানায়নি অ্যাপল। তবে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা বলছেন, পুরোনো আইওএসচালিত কোনো ডিভাইস বা ম্যাকের কাছে আপনার নতুন আইফোন বা আইপ্যাড রাখুন। এতে অনেক ব্যক্তিগত সেটিংস ও আইক্লাউড কিচেইন পাসওয়ার্ড দ্রুত ও নিরাপদে সেখানে চলে যাবে।

ড্রাগ অ্যান্ড ড্রপ সমর্থন: নতুন আইওএস অপারেটিং সিস্টেমে এসেছে কনটেন্ট ড্রাগ অ্যান্ড ড্রপ সুবিধা। এতে ছবি, টেক্সট, লিংক প্রভৃতি অ্যাপ সুইচার প্যানেলের মাধ্যেমে বিভিন্ন অ্যাপে সহজে ব্যবহার করা যাবে।

আইফোন ব্যবহারের অসুবিধা :

ম্যাপিং অসুবিধা :
আইফোন ৫-এর সঙ্গে অ্যাপল তাদের নিজস্ব ম্যাপিং সুবিধা জুড়ে দিয়েছে। এটা অনেকের কাছেই হাসি-তামাশার খোরাক! অ্যাপলের এ ম্যাপ এতটাই অবাস্তব যে দেখা গেছে, খোলা মাঠের জায়গায় নদী আর হাসপাতালের জায়গায় রেলস্টেশন! এ জন্য আইফোন ব্যবহারকারীদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমাও চেয়েছে অ্যাপল। সেই ক্ষমাপ্রার্থনায় তারা নিজেরাই গুগল কিংবা নকিয়া ম্যাপস ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে।

ওয়েব ব্রাউজিং ও মেইলে ডিফল্ট অ্যাপ
ডিফল্ট অ্যাপ্লিকেশন আইফোনের অন্যতম সীমাবদ্ধতা। স্বাভাবিক অবস্থায় ক্রোম কিংবা অন্য কোনো ব্রাউজারকে ডিফল্ট হিসেবে নির্ধারণ করা যায় না আইফোনে। মেইলের ক্ষেত্রে জিমেইলের বদলে আইফোন তার ব্যবহারকারীদের সব সময় উৎসাহিত করে তাদের ডিফল্ট মেইল অ্যাপ ব্যবহার করতে। সারা বিশ্বে ব্যবহারকারীদের কাছে ব্রাউজার হিসেবে ক্রোম, মোজিলা জনপ্রিয় ও পরিচিত। একইভাবে যেমন জিমেইল। ফোন ব্যবহারকারীরাও চান এই সেবাগুলো ব্যবহার করতে। কোথায় কোন অপশন আছে, কীভাবে অ্যাপটি ব্যবহার করতে হয়, তা জানা থাকে বলে। কিন্তু আইফোন এ ক্ষেত্রে নিজেদের ব্যবসায়িক স্বার্থ দেখে।
পাশাপাশি আইফোনে সরাসরি ওয়েব থেকে কোনো কিছু ডাউনলোড করা প্রায় অসম্ভব। ফাইল শেয়ারিংও অনেক ঝামেলাপূর্ণ। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বেশির ভাগ মানুষ অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহার করেন। ফলে পরিচিতদের সঙ্গে কোনো ফাইল আদান-প্রদানে ঝামেলায় পড়তে হয় আইফোন ব্যবহারকারীদের।

আইওএস অপারেটিং সিস্টেম-চালিত স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৬২ শতাংশ সফটওয়্যার-জনিত সমস্যার শিকার হয়েছেন।

কারও কারও মতে, আনলক করা আইফোনের চার্জও ক্ষয় হয় বেশ দ্রুত। আরও একটি অসুবিধা হলো, আইফোনের ব্যাটারি পাল্টানো যায় না। এর অরিজিনাল এক্সেসরিজ পাওয়াও ভীষণ ব্যয়বহুল ও ঝামেলাপূর্ণ।

আইফোনের আরেকটি বড় অসুবিধা হলো ব্যক্তিগত কম্পিউটার থেকে ডেটা নেওয়ার ক্ষেত্রে। বেশির ভাগ পিসিতে চলে উইন্ডোজ। কিন্তু আইফোন তা করতে দেয় না। এর জন্য উইন্ডোজে আইফোনের সফটওয়্যার নামিয়ে নিতে হয়। সেই সফটওয়্যার ইনস্টল ও সংস্করণ হালনাগাদে ব্যবহারকারীদের ভুগতে হয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.